ওই প্রতিবেদনে সাপোর্টিং নেটওয়ার্ক স্ট্যাবিলিটি, নিরাপত্তা, নিঃসরণ হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তনে নিজেদের কার্যক্রম, টেকফরঅল এর ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি ও কর্ম পরকল্পনা এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) নিয়ে বিগত বছরগুলোতে হুয়াওয়ের সাফল্যের কথা উঠে এসেছে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে হুওয়াওয়ে জানায়, ভূমিকম্প, টাইফুন, সুনামি, এমনকি সশস্ত্র সংঘাতময় পরিস্থিতিতেও হুয়াওয়ের কর্মীরা সঙ্কটের মূলে থেকে যোগাযোগ নেটওয়ার্ক পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক কার্যক্রম সচল রাখতে কাজ করে।
গত বছর ২০০র বেশি সঙ্কটময় ঘটনা ও দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে নেটওয়ার্ক সচল রেখেছে হুওয়ায়ে।
এ নিয়ে হুয়াওয়ের চেয়ারম্যান লিয়াং হুয়া বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে আমরা অভুতপূর্ব সব প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছি এবং আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ের ধারাবাহিকতা এবং আমাদের গ্রাহকদের সময়মতো পণ্য ও সেবাদান নিশ্চিত করতে আমরা সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে দিন-রাত কাজ করেছি। বিশ্বের ১৭০টিরও বেশি দেশে কয়েকশ’ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের নেটওয়ার্ক সেবা চালু করতে সহায়তা করেছি আমরা।
‘তবে, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্থিতিশীল নেটওয়ার্ক কার্যক্রম বজায় রাখাই আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য নয়, এটা আমাদের অন্যতম সামাজিক দায়িত্ব,’ যোগ করেন তিনি।
কার্বন নিঃসরণ হ্রাস, সার্কুলার ইকোনোমি এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে এর স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী নানা লক্ষ্য এবং গত বছর এর সাফল্যের কথাও প্রকাশ করেছে।
নিঃসরণ হ্রাসের ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে পণ্যে জ্বালানি দক্ষতা ২২ শতাংশ পর্যন্ত উন্নীত হয়েছে। ২০১৯ সালে হুয়াওয়ে ১.২৫ বিলিয়ন কিলোওয়াট-আওয়ার (কেডব্লিউএইচ) ক্লিন এনার্জি ব্যবহার করেছে, যা ৫ লাখ ৭০ হাজার টন কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণের হ্রাসের সমান।